নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর আইন বিভাগে ৫১তম আবর্তনের আয়োজনে ৫২তম আবর্তনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম তলায় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নবীনবরণের শুরুতে ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ শেষে দেশ ও জাতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবশন করা হয়।
আইন অনুষদের ডীন(ভারপ্রাপ্ত) ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে অতিথিদের বক্তব্যের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) জিনাত তারা।
প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আইনের শাসন, আইন অধ্যয়ন, আইনের ক্ষেত্র ও নবীনদের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকের এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আইন বিভাগে নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে পেরে আমার মনে হচ্ছে, তারা শুধু নিজেদের ভবিষ্যৎই নয়, বরং আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের আইন ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিও শক্তিশালী করতে এগিয়ে এসেছে।
আইন একটি মহৎ পেশা। এটি শুধু আদালতের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম হাতিয়ার। ইতিহাস সাক্ষী, যারা ন্যায়বিচারের জন্য লড়েছেন, তারা সমাজে পরিবর্তন এনেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বর্তমান প্রেক্ষাপট পর্যন্ত ন্যায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আইনশাস্ত্র কঠিন হতে পারে, কিন্তু এটি আপনাকে যুক্তি, বিশ্লেষণ, এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার শক্তি দেবে। অধ্যবসায়, সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে আপনারা একদিন জাতির জন্য গর্বের কারণ হবেন। শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আদালত, মানবাধিকার সংস্থা, আইনি গবেষণা ইত্যাদিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করুন।
বিশ্ববিদ্যালয় কেবল ডিগ্রি অর্জনের জায়গা নয়, এটি আপনাদের নৈতিকতা, মানবিকতা ও নেতৃত্বগুণ বিকাশের ক্ষেত্র। আইন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব আরও বেশি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আপনাদের হতে হবে নির্ভীক, সত্যনিষ্ঠ ও মানবিক।
আমি আশা করি, আপনারা কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও সততার মাধ্যমে নিজেদের একজন যোগ্য আইনজীবী হিসেবে গড়ে তুলবেন এবং দেশ ও জাতির সেবা করবেন।
এছাড়া অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আবু দাউদ হাসান প্রমূখ।









আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর আইন বিভাগে ৫১তম আবর্তনের আয়োজনে ৫২তম আবর্তনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম তলায় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নবীনবরণের শুরুতে ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ শেষে দেশ ও জাতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবশন করা হয়। আইন অনুষদের ডীন(ভারপ্রাপ্ত) ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে অতিথিদের বক্তব্যের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) জিনাত তারা। প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আইনের শাসন, আইন অধ্যয়ন, আইনের ক্ষেত্র ও নবীনদের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকের এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আইন বিভাগে নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে পেরে আমার মনে হচ্ছে, তারা শুধু নিজেদের ভবিষ্যৎই নয়, বরং আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের আইন ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিও শক্তিশালী করতে এগিয়ে এসেছে। আইন একটি মহৎ পেশা। এটি শুধু আদালতের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম হাতিয়ার। ইতিহাস সাক্ষী, যারা ন্যায়বিচারের জন্য লড়েছেন, তারা সমাজে পরিবর্তন এনেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বর্তমান প্রেক্ষাপট পর্যন্ত ন্যায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আইনশাস্ত্র কঠিন হতে পারে, কিন্তু এটি আপনাকে যুক্তি, বিশ্লেষণ, এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার শক্তি দেবে। অধ্যবসায়, সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে আপনারা একদিন জাতির জন্য গর্বের কারণ হবেন। শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আদালত, মানবাধিকার সংস্থা, আইনি গবেষণা ইত্যাদিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করুন। বিশ্ববিদ্যালয় কেবল ডিগ্রি অর্জনের জায়গা নয়, এটি আপনাদের নৈতিকতা, মানবিকতা ও নেতৃত্বগুণ বিকাশের ক্ষেত্র। আইন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব আরও বেশি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আপনাদের হতে হবে নির্ভীক, সত্যনিষ্ঠ ও মানবিক। আমি আশা করি, আপনারা কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও সততার মাধ্যমে নিজেদের একজন যোগ্য আইনজীবী হিসেবে গড়ে তুলবেন এবং দেশ ও জাতির সেবা করবেন। এছাড়া অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আবু দাউদ হাসান প্রমূখ।
![]() |







